স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ

আজকের আর্টিকেলের মুল বিষয় হলো স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ সম্পর্কে। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা চোখের এলার্জি ঔষধ এর নাম, এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম কি, এলার্জি ঔষধ এর নাম হোমিওপ্যাথি এবং বাচ্চাদের এলার্জি ঔষধ এর নাম সম্পর্কেও আলোচনা করবো।

স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ

তাহলে দেরি না করে জেনে নেই স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ সম্পর্কে।

স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ

স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ এর মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহার হওয়া ওষুধ হলো এন্টিহিস্টামিন। এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে যা সেবন করলে স্কিন এলার্জি দূর হয়ে যায়। এই ওষুধগুলো এলার্জির ধরন এবং তীব্রতার ওপর নির্ভর করে সেবন করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। নিম্নে কিছু স্কিন এলার্জির ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
 

সিট্রিজিন - স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ

এটি এক ধরনের এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ। যা আমাদের শরীরে থাকা চুলকানি এবং র‍্যাশ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের হাচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ চুলকানো ইত্যাদি ক্ষেত্রেও এই ওষুধ অনেক বেশি কাজে দেয়। সিট্রিজিন ওষুধ মূলত সিজনাল এলার্জি, পারেনিয়াল এলার্জি এবং এলার্জিক রাইনাইটিসের চিকিৎসায় বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
 
সিট্রিজিনের ভালো দিকসমুহ

  • সিট্রিজিন সেবনের ফলে আমাদের দেহে থাকা এলার্জি এবং চুলকানি অনেক দ্রুত উপশম করে থাকে। এই ওষুধ নাক, চোখ এবং ত্বকের এলার্জির ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • অন্যান্য এন্টিহিস্টামিন এর তুলনায় সিট্রিজিন সেবন করলে অনেক কম মাথা ঘোরায়। যার কারনে দিনের বেলাতে এই ওষুধ সেবন করা নিরাপদ বলে বিবেচনা করা হয়।
  • সিট্রিজিন ওষুধ ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত এলার্জির উপশম করতে পারে। যা অন্যান্য ওষুধের তুলনায় অনেক বেশি।
  • সিট্রিজিন ওষুধ শিশুদের এলার্জি উপশমের ক্ষেত্রেও উপযোগী। সাধারনত ৬ বছর বা তার ওপরের বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ সেবন করা নিরাপদ।
 
সিট্রিজিন এর খারাপ দিকসমুহ

  • যদিও সিট্রিজিন সেবন করলে কম ঘুমের ভাব দেখা দেয়, তবুও আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ সেবনের ফলে হালকা ঘুমঘুম ভাব আনতে পারে।
  • সিট্রিজিন সেবনের ফলে মুখ শুষ্ক হয়ে যায়।
  • অনেকদিন যাবত সিট্রিজিন ওষুধ সেবন করলে আমাদের হৃদ পিন্ডের সমস্যা দেখা দেয়।
  • যারা গর্ভবতী আছে তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ সেবন না করাই উত্তম।
 

ফেক্সোফেনাডিন - স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ

এই ওষুধ সাধারনত দীর্ঘমেয়াদী এলার্জির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যাদের দেহে অনেকদিন যাবত এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এই ওষুধ সেবন করতে পারে। ফেক্সোফেনাডিন ওষুধ এলার্জিক রাইনাইটিস এবং ক্রনিক এলার্জিক এর চিকিৎসায় সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
 
ফেক্সোফেনাডিন এর ভালো দিকসমুহ

  • ফেক্সোফেনাডিন সেবনের ফলে আমাদের ঘুমের ভাব তেমন একটা দেখা যায় না। ফলে যারা দিনে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ সেবন করা নিরাপদ।
  • ফেক্সোফেনাডিন ওষুধ সেবন করলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এলার্জির সমস্যা হয় না।
  • যেসকল শিশুদের বয়স ৬ বছর বা তার বেশি তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ সেবন করা নিরাপদ বলে মনে করা হয়।
  • অনেক দ্রুত এলার্জির সমস্যা দূর করতে ফেক্সোফেনাডিন ওষুধ সেবন করা হয়ে থাকে।
 
ফেক্সোফেনাডিন ওষুধের খারাপ দিকসমুহ

  • ফেক্সোফেনাডিন সেবনের ফলে অনেকের হজমের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
  • যারা নিয়ম না মেনে এই ওষুধ সেবন করে তাদের ক্ষেত্রে মাথাব্যথার সমস্যা দেখা দেয়।
  • ফেক্সোফেনাডিন সেবনের ফলে আমাদের হৃদ রোগের সমস্যা বেড়ে যায়।
  • গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ সেবন না করাই উত্তম।
 

লোরাটাডিন - স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ

লোরাটাডিনও এক ধরনের এন্টিহিস্টামিন। যা আমাদের দেহের স্কিন এলারজির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও লোরাটাডিন ওষুধ আমাদের হাই ফিভার এর ক্ষেত্রেও সেবন করা হয়ে থাকে। এই ওষুধের ভালো দিক এর পাশাপাশি খারাপ দিক লক্ষ্য করা যায়।
 
লোরাটাডিন এর ভালো দিকসমুহ

  • আমাদের শরীর থেকে এলারজি উপশমে সাহায্য করে থাকে।
  • লোরাটাডিন ওষুধ সেবনের ফলে আমাদের সেডেশনের ঝুকি অনেক কমে যায়।
  • এই ওষুধ সেবন করলে দীর্ঘ সময়ের জন্য এলারজি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অন্যান্য ওষুধের তুলনায় অনেক কম।
 
লোরাটাডিন এর খারাপ দিকসমুহ

  • লোরাটাডিন সেবনের ফলে আমাদের মাথাব্যথা এবং ক্লান্তির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
  • ত্বকে খুশখুশে ভাব বা ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়।
  • অনেক বেশি এলারজির ক্ষেত্রে এই ওষুধ কার্যকরী নাও হতে পারে।
  • শিশু এবং গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে এই ওষুধ সেবন না করাই উত্তম।
 

হাইড্রোকর্টিসন ক্রিম

এই ক্রিম আমাদের দেহে থাকা প্রদাহ, চুলকানি এবং এলারজি দূর করে থাকে। এছাড়াও ত্বকে থাকা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে এই ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া একজিমা, সেরিয়াসিস, র‍্যাশ এবং পোকার কামড় এর হাত থেকে রক্ষা পেতেও এই ক্রিম সেবন করা হয়ে থাকে।
 
হাইড্রোকর্টিসন ক্রিম এর ভালো দিকসমুহ

  • আমাদের দেহে থাকা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। চুলকানি এবং লালচে ভাব কমিয়ে এলারজি কমাতেও সাহায্য করে।
  • এই ক্রিম আমাদের শরীরে লাগানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যে এই সমস্যার উপশম হয়ে থাকে।
  • এই ক্রিমে অনেক কম করটিকোস্টেরয়েড থাকে যার কারনে এই ক্রিমে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক কম।
 
হাইড্রোকর্টিসন ক্রিম এর খারাপ দিকসমুহ

  • এই ক্রিম অনেক বেশি পরিমানে সেবন করলে ত্বক পাতলা হয়ে যায়। যার কারনে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • এই ক্রিম অনেক বেশি পরিমানে সেবন করলে সংক্রমনের ঝুকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • এই ক্রিম সেবনের ফলে ত্বকের রঙ হালকা পরিবর্তন হয়ে থাকে। যাকে হাইপো-পিগমেন্টেশন বলে।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে এই ক্রিম সেবন করার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করা উচিত।
 

বেটামেথাসন

বেটামেথাসন এক ধরনের করটিকোস্টেরয়েড ওষুধ। যা আমাদের দেহ থেকে প্রদাহ, ফোলাভাব, চুলকানি এবং এলারজি দূর করতে এই ওষুধ সেবন করতে হয়। এই ওষুধ ক্রিম, ইনজেকশন এবং ট্যাবলেট আকারেও পাওয়া যায়।
 
বেটামেথাসন ওষুধের ভালো দিকসমুহ

  • আমাদের দেহ থেকে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  • এই ওষুধে অনেক বেশি পরিমানে স্টেরয়েড থাকে যার ফলে এই ওষুধ অনেক দ্রুত আমাদের শরীরে কাজ করে।
  • ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে এই ওষুধ সেবন করা হয়ে থাকে।
  • এলারজির চিকিৎসায় দ্রুত ব্যবহার করতে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বেটামেথাসন ওষুধের খারাপ দিকসমুহ

  • এই ওষুধ অনেক দিন ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বক পাতলা হয়ে যায়। যার কারনে আমাদের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
  • আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে দেয়।
  • এই ওষুধ সেবন করলে হরমোনজনিত বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
  • আমাদের ত্বকের রঙ পরিবর্তন হয়ে থাকে।
  • আমাদের ত্বক খসখসে হয়ে যায় এবং অনেক বেশি পরিমানে শুষ্ক হয়ে যায়।

আশা করি উপরোক্ত তথ্য থেকে আমরা স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ সম্পর্কে মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি।

চোখের এলার্জি ঔষধ এর নাম

পূর্বে আমরা স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই চোখের এলারজি দূর করার কিছু ওষুধ এর নাম সম্পর্কে।
 
এলারজি আমাদের দেহে প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। আমাদের ত্বকের চুলকানি এবং র‍্যাশের মত সমস্যা দূর করতেও আমরা ওষুধ সেবন করে থাকি। নিম্নে চোখের এলারজি দূর করার কিছু ওষুধ, কাজ, সেবনের নিয়ম এবং মুল্য সম্পর্কে নিম্নে একটি টেবিল উপস্থাপন করা হলো।

ঔষধের নাম

কাজ

সেবনের নিয়মাবলী

মূল্য (প্রায়)


অলোপাটাডিন (Olopatadine)

চোখের চুলকানি এবং প্রদাহ কমানো, এলার্জির প্রতিক্রিয়া দূর করা।

প্রতিদিন ১-২ ফোঁটা, দিনে ২ বার।

৩০০-৫০০ টাকা (১০ মি.লি.)


আজেলাস্টিন (Azelastine)

এলার্জিজনিত চোখের প্রদাহ ও লালচে ভাব কমানো।

প্রতিদিন ১ ফোঁটা, দিনে ২ বার।

২৫০-৪০০ টাকা (৫-১০ মি.লি.)


কেটোটিফেন (Ketotifen)

এলার্জিজনিত চোখের চুলকানি ও অস্বস্তি কমানো।

প্রতিদিন ১ ফোঁটা, দিনে ২ বার।

২০০-৩৫০ টাকা (৫-১০ মি.লি.)


নাফকন-এ (Naphcon-A)

এলার্জি এবং লালচে চোখের উপশমে সাহায্য করে।

৪-৬ ঘণ্টা অন্তর ১ ফোঁটা।

১৫০-৩০০ টাকা (৫-১০ মি.লি.)


লিভোকাবাস্তিন (Levocabastine)

চোখের অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া এবং প্রদাহ কমায়।

প্রতিদিন ১-২ ফোঁটা, দিনে ২ বার।

২০০-৪৫০ টাকা (৫-১০ মি.লি.)


লোটেপ্রেডনল (Loteprednol)

অ্যালার্জিজনিত চোখের প্রদাহ এবং চুলকানি দূর করতে ব্যবহার করা হয়।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন, সাধারণত দিনে ২ বার।

৫০০-৮০০ টাকা (৫-১০ মি.লি.)



আশা করি উপরোক্ত তথ্য থেকে আপনি স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়েছেন।

এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম কি

পূর্বে আমরা স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ এবং চোখের এলারজি ওষুধ সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো এলারজি দূর করার কিছু ওষুধের নাম, কাজ, সেবনের নিয়ম এবং মুল্য সম্পর্কে জানবো।
 
এলারজি আমাদের ত্বকে প্রদাহ, চুলকানি এবং র‍্যাশের সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। এই সমস্যাসমুহ দূর করতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করার দরকার হয়ে থাকে। নিম্নে এলারজি এবং চুলকানি দূর করার কিছু ওষুধের নাম, কাজ, সেবনের নিয়ম এবং মুল্য সম্পর্কে নিম্নে একটি টেবিল উপস্থাপন করা হলো।
 

ঔষধের নাম

সেবনের নিয়মাবলী

মূল্য (প্রায়)


লোরাটাডিন (Loratadine)

প্রতিদিন ১ ট্যাবলেট (১০ মি.গ্রা), খাবারের সাথে বা পরে সেবন।

২০-৫০ টাকা (প্রতি ১০ ট্যাবলেট)


সেটিরিজিন (Cetirizine)

প্রতিদিন ১ ট্যাবলেট (১০ মি.গ্রা), রাতে সেবন করা ভালো।

২৫-৬০ টাকা (প্রতি ১০ ট্যাবলেট)


ফেক্সোফেনাডিন (Fexofenadine)

প্রতিদিন ১ ট্যাবলেট (৬০-১৮০ মি.গ্রা), চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।


৫০-১৫০ টাকা (প্রতি ১০ ট্যাবলেট)

ডেসলোরাটাডিন (Desloratadine)

প্রতিদিন ১ ট্যাবলেট (৫ মি.গ্রা), খাবারের সাথে বা পরে সেবন।

৭০-১৫০ টাকা (প্রতি ১০ ট্যাবলেট)


হাইড্রোক্সিজিন (Hydroxyzine)

প্রতিদিন ১-৩ বার (২৫-৫০ মি.গ্রা), চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

৩০-১০০ টাকা (প্রতি ১০ ট্যাবলেট)



আশা করি উপরোক্ত তথ্য থেকে আপনি স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন।

এলার্জি ঔষধ এর নাম হোমিওপ্যাথি

পূর্বে আমরা স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ, চোখের এলারজি ওষুধ এবং চুলকানি দূর করার কিছু ওষুধের নাম সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানব এলারজি দূর করার কিছু হোমিওপ্যাথিক নাম সম্পর্কে।

হোমিওপ্যাথিক ওষুধ একটু দেরিতে কাজ করে। কিন্তু এই ওষুধ এলারজি দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী। নিম্নে এলারজি দূর করার কিছু হোমিওপ্যাথিক ওষুধের নাম, কাজ, সেবনের নিয়ম এবং মুল্য সম্পর্কে একটি টেবিল উপস্থাপন করা হলো।

হোমিওপ্যাথি ঔষধের নাম

সেবনের নিয়মাবলী

মূল্য (প্রায়)



অ্যালিয়াম সিপা (Allium Cepa)

এলার্জিজনিত হাঁচি, চোখে পানি আসা এবং নাক দিয়ে পানি পড়া হলে।

দিনে ২-৩ বার, 

২-৪ ড্রপ।




অ্যাম্ব্রোসিয়া (Ambrosia)

চুলকানি এবং সিজনাল এলার্জি দূর করতে।

দিনে ২-৩ বার, 

২-৪ ড্রপ।


অ্যারুম ট্রিপhyllum (Arum Triphyllum)

তীব্র চুলকানি ও সর্দি দূর করতে।


দিনে ২ বার, 

২-৪ ড্রপ।

ন্যাট্রাম মিউর (Natrum Muriaticum)

ত্বকের এলার্জিজনিত চুলকানি এবং র‍্যাশের জন্য।

দিনে ১-২ বার, ৩-৫ পিল।



ক্যামোমিলা (Chamomilla)

চুলকানি এবং এলার্জিজনিত ত্বকের প্রদাহের চিকিৎসায়।

দিনে ২ বার, ২-৪ ড্রপ।


আশা করি উপরোক্ত তথ্য থেকে আপনি স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন।

বাচ্চাদের এলার্জি ঔষধ এর নাম

পূর্বে আমরা স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ, চোখের এলারজি ও চুলকানির ওষুধ এবং এলারজি দূর করার কিছু হোমিওপ্যাথিক ওষুধের নাম সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এলারজি দূর করার কিছু ওষুধের নাম সম্পর্কে। নিম্নে এই সম্পর্কে একটি টেবিল উপস্থাপন করা হলো।

ঔষধের নাম

সেবনের নিয়মাবলী

মূল্য (প্রায়)



সেটিরিজিন (Cetirizine)

২-৬ বছর বয়স: দিনে ১ বার ২.৫ মি.লি.

৬-১২ বছর: দিনে ১ বার ৫ মি.লি.

৫০-১০০ টাকা (প্রতি ১০ ট্যাবলেট বা সিরাপ ৬০ মি.লি.)


লোরাটাডিন (Loratadine)

২-৬ বছর: দিনে ১ বার ৫ মি.লি.

৬-১২ বছর: দিনে ১ বার ১০ মি.লি.

৫০-১৫০ টাকা (সিরাপ ৬০-১০০ মি.লি.)


ফেক্সোফেনাডিন (Fexofenadine)

৬-১২ বছর: দিনে ১ বার ৩০ মি.গ্রা ট্যাবলেট অথবা ৫ মি.লি. সিরাপ।


১০০-২০০ টাকা 

(প্রতি ১০

 ট্যাবলেট বা 

সিরাপ ৬০ 

মি.লি.)

ডেসলোরাটাডিন (Desloratadine)

১-৫ বছর: দিনে ১ বার ২.৫ মি.লি.

৬-১২ বছর: দিনে ১ বার ৫ মি.লি.

১০০-২০০ টাকা (সিরাপ ৬০-১০০ মি.লি.)



আশা করি উপরোক্ত তথ্য থেকে আপনি স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন।

শেষ কথা - স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ

আজকের আর্টিকেলে আমরা স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ, চোখের এলারজি ওষুধ এবং চুলকানির ওষুধ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন। প্রতিনিয়ত এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ওয়েবসাইট ফলোও করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url