fenadin 120 কিসের ওষুধ
আজকের আর্টিকেলের মুল বিষয় হলো fenadin 120 কিসের ওষুধ সম্পর্কে। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা fenadin 120 কি কাজ করে, ফেনাডিন ১২০ এর কাজ কি, ফেনাডিন ১২০ ট্যাবলেট কেন খায় এবং ফেনাডিন ১২০ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও আলোচনা করবো। শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন অজানা বিষয়কে জানার জন্য।
প্রতিটি ওষুধের ভালো দিকের পাশাপাশি খারাপ দিকও রয়েছে। ফেনাডিন এর ক্ষেত্রেও এই ধরনের বিষয় লক্ষ্য করা যায়। যদি আমরা অতিরিক্ত পরিমানে ফেনাডিন সেবন করি এবং নিয়ম না মেনে সেবন করি তাহলে সেইক্ষেত্রে আমাদের শরীরে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখতে পারি। যেমন-
আশা করি উপরোক্ত তথ্য থেকে আপনি fenadin 120 কিসের ওষুধ সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়েছেন। মনে রাখবেন, যেকোনো ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যকীয়। অনেক সময় আমরা নিয়ম না মেনে ওষুধ সেবন করে থাকি। যার কারনে আমরা বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পতিত হই।
কারন নিয়ম না মেনে ওষুধ সেবন করলে তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতির কারন হয় দাঁড়ায়। এমনকি আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যার কারনে ওষুধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করা উচিত। অন্যথায়, তা আমাদের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে।
আমরা পূর্বে জেনেছি, ফেনাডিন ওষুধ আমাদের শরীরে থাকা চুলকানি বা এলারজির সমস্যার জন্য সেবন করা হয়ে থাকে। আমাদের বিভিন্ন কারনে শরীরে এলারজির সমস্যা দেখা দেয়।
প্রতিটি ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে নিয়ম মানতে হয়। যদি আমরা নিয়ম না মেনে ওষুধ সেবন করি তাহলে আমাদের শরীরে এর বিভিন্ন খারাপ দিক লক্ষ্য করা যায়। ফেনাডিন ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের নিয়ম মানতে হয়। নিম্নে ফেনাডিন ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।
উপরোক্ত নিয়ম ছাড়াও ফেনাডিন ওষুধ খাওয়ার আরও বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেই fenadin 120 কিসের ওষুধ তা সম্পর্কে।
fenadin 120 কিসের ওষুধ
fenadin 120 মূলত এলারজির ওষুধ। যা আমাদের শরীরে চুলকানি, সর্দি, হাচি, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চামড়ায় থাকা র্যাশ এবং হাইভস এর চিকিৎসায় সেবন করা হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে বিভিন্ন কারনে এলারজির লক্ষন দেখা দেয়।অনেকের খাবারে এলারজি। অনেকের আবার ধুলাবালি এবং স্যাতস্যাতে পরিবেশের কারনে এলারজি হয়ে থাকে। আবার অনেকের ঠান্ডা লাগার কারনে এলারজির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। ফেনাডিন ১২০ মূলত আমাদের শরীর থেকে এই এলারজি দূর করতে সেবন করা হয়ে থাকে।
আমাদের শরীরে অনেক সময় ঠান্ডা লাগলে বা ধুলাবালি শরীরে প্রবেশ করলে আমাদের শরীরে এলারজির মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। অনেক সময় খাবারের কারনে শরীরে এলারজির মত সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। যার কারনে আমাদের অনেক অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়।
সাধারনত এলারজি থেকে মুক্তি পেতে আমরা ফেনাডিন ওষুধ সেবন করে থাকি। অন্যান্য ওষুধের তুলনায় ফেনাডিন ওষুধ দ্রুত এলারজির বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। যার কারনে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও আমরা এলারজি থেকে মুক্তি পেয়ে থাকি।
ফেনাডিন এ এক ধরনের সক্রিয় উপাদান থাকে। যার নাম হলো ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড। এটি ধরনের এন্টিহিস্টামিন। যা আমাদের শরীরে স্নায়ুবিক সিস্টেমকে কম প্রভাবিত করে এবং আমাদের ঘুমের ভাব এনে দেয়।
যখন আমাদের শরীরে এলারজির সমস্যা দেখা দেয় তখন ফেনাডিন ১২০ সেবন করলে আমাদের শরীরে স্নায়ুর প্রতিক্রিয়া অল্প পরিমানে কমে যায় এবং আমাদের ঘুমের ভাব দেখা দেয়। যার কারনে আমাদের শরীর থেকে তখন এলারজির ভাব কেটে যায়।
ফেনাডিন ১২০ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সেবন করা হয়ে থাকে। দিনে ১-২ টি ফেনাডিন সেবন করা যেতে পারে। তবে যদি শরীরে অতিরিক্ত পরিমানে চুলকানি বা এলারজি দেখা দেয় সেক্ষেত্রে আপনি ২ টি ফেনাডিন সেবন করতে পারবেন। এতে করে শরীরে কোনো প্রকার ক্ষতি হবে না।
প্রতিটি ওষুধের ভালো দিকের পাশাপাশি খারাপ দিকও রয়েছে। ফেনাডিন এর ক্ষেত্রেও এই ধরনের বিষয় লক্ষ্য করা যায়। যদি আমরা অতিরিক্ত পরিমানে ফেনাডিন সেবন করি এবং নিয়ম না মেনে সেবন করি তাহলে সেইক্ষেত্রে আমাদের শরীরে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখতে পারি। যেমন-
- নিয়ম না মেনে ফেনাডিন সেবন করলে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয়।
- অতিরিক্ত পরিমানে মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়।
- বমি বমি ভাব দেখা দেয়। অনেক সময় বমি হয়ে থাকে।
- পেটে ব্যথা হয়ে থাকে এবং পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে।
- গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে ফেনাডিন ওষুধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফেনাডিন ওষুধ সেবনের পূর্বে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
কারন নিয়ম না মেনে ওষুধ সেবন করলে তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতির কারন হয় দাঁড়ায়। এমনকি আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যার কারনে ওষুধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করা উচিত। অন্যথায়, তা আমাদের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে।
fenadin 120 কি কাজ করে
পূর্বে আমরা fenadin 120 কিসের ওষুধ তা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো ফেনাডিন ১২০ এর কাজ সম্পর্কে।আমরা পূর্বে জেনেছি, ফেনাডিন ওষুধ আমাদের শরীরে থাকা চুলকানি বা এলারজির সমস্যার জন্য সেবন করা হয়ে থাকে। আমাদের বিভিন্ন কারনে শরীরে এলারজির সমস্যা দেখা দেয়।
অনেক সময় বিভিন্ন কারনে আমাদের শরীরে এলারজির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। শরীরে এলারজি থাকার কারনে অনেক সময় হাচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া এবং চোখে চুলকানির মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
এছাড়াও এলারজির কারনে আমাদের শরীরে অনেক সময় চুলকানি এবং ত্বকে র্যাশ হওয়ার মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এই অবস্থায় ফেনাডিন ১২০ ওষুধ খাওয়া হয়ে থাকে। আমাদের শরীর থেকে এলারজি জনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এই ওষুধ অনেক বেশি কার্যকরী।
আমাদের শরীরে থেকে এলারজি, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাচি-কাশি এবং চোখ চুলকানির মত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা সাধারনত এই ওষুধ সেবন করে থাকি। ফেনাডিন ওষুধে এন্টী-হিস্টামিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে। যা আমাদের শরীরে হিস্টামিন নামক উপাদান উৎপন্ন হওয়া বন্ধ করে। যার ফলে আমাদের শরীরে এলারজির প্রভাব কমে যায়।
ঠান্ডা লাগা, ধুলাবালি এবং বিভিন্ন খাবার আছে যা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে এলারজির সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ফেনাডিন ওষুধ সেবন করা হয়। নিম্নে ফেনাডিন এর বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।
- আমাদের শরীরে এলারজি, সর্দি, হাচি, চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং আমাদের ত্বকে থাকা র্যাশ কমাতে ফেনাডিন ওষুধ সেবন করা হয়।
- ফেনাডিন ওষুধ আমাদের শরীরে হিস্টামিনের কার্যকারিতা বন্ধ করতে সেবন করা হয়ে থাকে।
- ত্বকে বিভিন্ন ধরনের এলারজি, র্যাশ বা হাইভস থাকলে ফেনাডিন ওষুধ সেবন করা হয়ে থাকে।
- ফেনাডিন ওষুধ সেবন করার ফলে আমাদের ঘুমের ভাব কম হয়ে থাকে।
- ফেনাডিন ওষুধ সেবন করার ফলে আমাদের শরীরে এলারজি বা চুলকানির সমস্যা সমাধান করতে অনেক দ্রুত কাজ করে।
ফেনাডিন ১২০ ট্যাবলেট কেন খায়
পূর্বে আমরা fenadin 120 কিসের ওষুধ এবং এর কাজ সম্পর্কে আমরা জেনেছি। এখন আমরা জানবো ফেনাডিন ওষুধ কেন খাওয়া হয় তা সম্পর্কে। ফেনাডিন আমাদের শরীরে কি কাজ করে তা সম্পর্কে নিম্নে উল্লেখ করা হলো।ফেনাডিন ১২০ ট্যাবলেট মূলত এক ধরনের এন্টি-হিস্টামিন ওষুধ। যা আমাদের শরীর থেকে এলারজি দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে। হিস্টামিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক আমাদের শরীরে উৎপাদন হওয়া বন্ধ করে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের সিজনাল এলারজির সমস্যা হয়ে থাকে। এই এলারজির কারনে শরীরে হাচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া এবং চোখ চুলকানোর মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
অনেক সময় আবার ধুলা, ফুলের রেনু, পশম, খাবার এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারনেও অনেকের এলারজির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এই অবস্থায় আমাদের শরীরে এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থা দেখা দিয়ে থাকে।
এই অবস্থায় আমরা সাধারনত ফেনাডিন ওষুধ সেবন করে থাকি। কারন ফেনাডিন ওষুধ আমাদের শরীর থেকে এলারজি দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও আমাদের শরীর থেকে হাচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখের চুলকানি ইত্যাদির মত সমস্যা দূর করতেও আমরা ফেনাডিন ওষুধ সেবন করে থাকি।
- আমাদের শরীর থেকে এলারজির সমস্যা দূর করার জন্য ফেনাডিন ট্যাবলেট খাওয়া হয়।
- ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই ওষুধ সেবন করা হয়ে থাকে।
- র্যাশ বা চুলকানির সমস্যা দূর করতে ফেনাডিন ওষুধ সেবন করা হয়।
- সর্দি এবং হাচির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ফেনাডিন ওষুধ সেবন করা হয়ে থাকে।
- চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা এবং নাক দিয়ে পানি পড়া বন্ধ করতে ফেনাডিন ওষুধ সেবন করা হয়।
- আমাদের শরীরে হিস্টামিন এর উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে।
- আমাদের চোখের এলারজি দূর করতে এই ওষুধ সেবন করা হয়।
- ঘুমের সমস্যা কমাতে ফেনাডিন ওষুধ খাওয়া হয়।
ফেনাডিন ১২০ খাওয়ার নিয়ম
পূর্বে আমরা fenadin 120 কিসের ওষুধ, এর কাজ কি এবং এই ওষুধ কেন খায় তা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো ফেনাডিন ১২০ ওষুধ খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে।প্রতিটি ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে নিয়ম মানতে হয়। যদি আমরা নিয়ম না মেনে ওষুধ সেবন করি তাহলে আমাদের শরীরে এর বিভিন্ন খারাপ দিক লক্ষ্য করা যায়। ফেনাডিন ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের নিয়ম মানতে হয়। নিম্নে ফেনাডিন ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।
- প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ফেনাডিন ১২০ দিনে ১ বার খেতে হবে।
- ১২ বছর বয়সের কম বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে ফেনাডিন ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- ফেনাডিন ওষুধ খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। আবার খাবারের সাথে বা ভরা পেটে এই ওষুধ না খাওয়া উত্তম। কারন এতে করে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যায়।
- এই ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু বেশি পরিমানে পানি দিয়ে খেতে হবে।
- ফেনাডিন ওষুধ নিয়মিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
- এই ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে ওষুধটি চিবানো বা ভাঙ্গা যাবে না।
- গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফেনাডিন ওষুধ সেবন করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
আমরা যেই ওষুধই সেবন করি না সবসময় আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। কারন প্রতিটি ওষুধ নিয়ম না মেনে সেবন করলে তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই আমরা যেই ওষুধই সেবন করি না কেন তার পূর্বে আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
fenadin syrup এর কাজ কি
পূর্বে আমরা fenadin 120 কিসের ওষুধ সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই ফেনাডিন সিরাপ এর কাজ সম্পর্কে। নিম্নে ফেনাডিন সিরাপ এর কাজসমুহ উল্লেখ করা হলো।
ফেনাডিন হলো এক ধরনের এন্টি-হিস্টামিন ওষুধ। যা আমাদের শরীরে হিস্টামিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান উৎপন্ন হওয়া রোধ করে। এর ফলে আমাদের শরীরে কোনো ধরনের এলারজির প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।
ধুলাবালি এবং ফুলের রেনু থেকে আমাদের শরীরে এলারজি দেখা দিয়ে থাকে। এই অবস্থায় আমাদের নাক, চোখ এবং পুরো শরীরে চুলকানির মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এই অবস্থায় আমরা সাধারনত ফেনাডিন সিরাপ সেবন করে থাকি।
অনেক সময় বিভিন্ন এলারজি জনিত খাবার এবং ওষুধ সেবনের ফলে আমাদের শরীরে এলারজির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। যার কারনে আমাদের শরীর এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে পার হয়। এই অবস্থায় ফেনাডিন সিরাপ সেবন করলে এলারজি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা ফেনাডিন সিরাপ সেবন করে থাকি। সমস্যাসমুহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- অ্যালার্জি জনিত কারনে অনেক সময় আমাদের নাক দিয়ে পানি পড়ে, হাচি হয়, চোখ চুলকায় ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। ফেনাডিন সিরাপ সেবনের ফলে আমাদের অ্যালার্জি জনিত এই ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
- অনেক সময় আমাদের শরীরে চুলকানি জনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এই সমস্যা দূর করতে ফেনাডিন ওষুধ সেবন করা হয়ে থাকে।
- আমাদের দেহে থাকা হিস্টামিন এর প্রভাব কমিয়ে দিতে ফেনাডিন এর ভূমিকা অপরিসীম।
- দীর্ঘস্থায়ী অ্যালার্জির সমস্যা সমাধানে এই ফেনাডিন ওষুধ সেবন করা হয়ে থাকে।
এতক্ষন আমরা ফেনাডিন সিরাপ এর কাজ সম্পর্কে জানলাম। এখন চলুন এর ডোজ সম্পর্কে আলোচনা করি। নিম্নে ফেনাডিন সিরাপ সেবনের ডোজ উল্লেখ করা হলো।
- শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- বয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে ১-২ বার সেবন করা উত্তম।
ফেক্সোফেনাডিন কিসের ঔষধ
পূর্বে আমরা fenadin 120 কিসের ওষুধ সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই ফেক্সোফেনাডিন ওষুধ সম্পর্কে।
ফেক্সোফেনাডিন হলো এক ধরনের এন্টি-হিস্টামিন। যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি দূর করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে যখন হিস্টামিন এর মাত্রা বেড়ে যায় তখন শরীরে অতিরিক্ত পরিমানে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
অতিরিক্ত পরিমানে ধুমপান এবং এলকোহলের সেবনের কারনেও আমাদের শরীরে এলারজির সমস্যা দেখা দেয়। আবার অনেক সময় বিভিন্ন খাবার আছে যা খেলে আমাদের শরীরে এলারজির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
গৃহপালিত প্রানীর সংস্পর্শে গেলেও অনেক সময় আমাদের শরীরে এলারজির সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা ফেক্সোফেনাডিন ওষুধ সেবন করে থাকি।
ফেক্সোফেনাডিন হলো এক ধরনের এন্টি-হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ। যা আমাদের শরীরে হিস্টামিন নামক উপাদান বেড়ে যাওয়া রোধ করে। এর ফলে আমাদের শরীর এলারজি থেকে মুক্তি পায়। ফেক্সোফেনাডিন এলারজি দূর করতে সেবন করা হয়ে থাকে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা ফেক্সোফেনাডিন সেবন করে থাকি। অ্যালার্জির সমস্যা বাদেও এই ওষুধ বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ এবং চুলকানির চিকিৎসাতেও সেবন করা হয়ে থাকে।
ফেক্সোফেনাডিন ১২০ এর কাজ কি
পূর্বে আমরা fenadin 120 কিসের ওষুধ সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই ফেক্সোফেনাডিন ১২০ এর কাজ সম্পর্কে। নিম্নে এই ওষুধের কাজ সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।
- সিজনাল অ্যালার্জি দূর করতে ফেক্সোফেনাডিন ১২০ সেবন করা হয়ে থাকে।
- নাক দিয়ে পানি পড়া দূর করতে এই ওষুধ সেবন করা হয়।
- অনেক সময় আমাদের হাচি এবং চোখ চুলকানোর মত সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ফেক্সোফেনাডিন ১২০ সেবন করা হয়ে থাকে।
- আমাদের শরীরে থাকা চর্মরোগ দূর করতে এই ওষুধ সেবন করা হয়।
- ফেক্সোফেনাডিন সেবনের ফলে আমাদের শরীর থেকে র্যাশ এবং চুলকানি দূর হয়ে যায়।
আশা করি উপরোক্ত থেকে আপনি জানতে পেরেছেন ফেক্সোফেনাডিন ওষুধ এর কাজ সম্পর্কে। একটি বিষয় মনে রাখা দরকার, তা হলো আপনি যেকোনো ওষুধই সেবন করেন না কেনো নিয়ম মেনে ওষুধ সেবন করবেন।
নিয়ম না মেনে ওষুধ সেবন করলে তা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতির কারন হতে পারে। যার কারনে যেকোনো ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে তারপর সেবন করা উচিত।
এলারজি দূর করার ওষুধ আমাদের ঘুমের কারন হয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করি আপনি ফেক্সোফেনাডিন ওষুধের কাজ এবং কিভাবে এই ওষুধ সেবন করতে হবে তা সম্পর্কে সঠিক ধারনা পেয়েছেন।