কিডনি বিক্রি হাসপাতাল বাংলাদেশ
আজকের আর্টিকেলের মুল বিষয় হলো কিডনি বিক্রি হাসপাতাল বাংলাদেশ সম্পর্কে। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা ঢাকা সরকারি কিডনি হাসপাতাল কোথায়, কিডনি চিকিৎসার জন্য ভালো হাসপাতাল, কিডনি ডোনেট হাসপাতাল কন্টাক্ট নম্বর ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কেও আলোচনা করবো।
কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে বাংলাদেশে কিডনি ফাউন্ডেশন রয়েছে। যার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে। পরবর্তীতে এই নামে হাসপাতাল গড়ে ওঠে ২০০৩ সালে।
যারা কিডনি বিক্রি করতে আগ্রহী তারা চাইলে কিডনি ফাউন্ডেশন এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। গুগলে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং সেখানে তাদের কনটাক্ট নাম্বার দেয়া আছে।
আপনি যদি আপনার দেহ থেকে একটি কিডনি সরিয়ে ফেলেন তাহলে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতার সম্মুখীন হতে পারেন। যা আপনাকে মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।
উপরোক্ত তথ্য থেকে আশা করি বুঝতে পেরেছেন আপনার কিডনি বিক্রি করা উচিত হবে কি না। একটি কিডনি বিক্রি করে দিলে অপর কিডনি সুস্থ স্বাভাবিক থাকা স্বত্ত্বেও অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং শারীরিক অবনতি ঘটতে থাকে। যার কারনে একজন মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিউট বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত। এই হাসপাতালটি শেরেবাংলা নগর থানায় অবস্থিত। এখানে কিডনি রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে।
কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
হটলাইনঃ +৮৮০১৬২৩৩৩৪৮৫০
অন্যান্য কনটাক্টঃ +৮৮০২-৪৪৮০৭৪৪৭, +৮৮০২-৪৪৮০৭৪৪৮
ইমেইলঃ info@kidneyfoundationbd.com
তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেই কিডনি বিক্রি হাসপাতাল বাংলাদেশ সম্পর্কে।
কিডনি বিক্রি হাসপাতাল বাংলাদেশ
আমরা অনেক সময় আমাদের দেহে থাকা মূল্যবান অঙ্গ কিডনি বিক্রি করে দেই বা ডোনেট করতে আগ্রহ প্রকাশ করি। এমতাবস্থায় যতগুলো হাসপাতাল আছে বেশিরভাগ দুর্নীতির সাথে জড়িত বলে আমরা মনে করি।আপনারা ইতিমধ্যে এই পোস্ট থেকে বাংলাদেশে কিডনির দাম এবং কিডনি সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিয়েছেন। এখন হয়তো জানতে চান, বাংলাদেশে কোথায় এবং কোন কোন হাসপাতালে অবৈধভাবে কিডনি বিক্রি এবং প্রতিস্থাপন করা হয়। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি।
একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানা গেছে, যেসব হাসপাতালে অবৈধভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন এবং সরবরাহ করা হয়। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল, কলম্বো এশিয়া হেলথ কেয়ার ও ট্রেট ওয়ার্থ ক্লিনিক, ল্যাবএইড, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, কিডনি ফাউন্ডেশন, ইউনাইটেড হাসপাতাল এবং আরও বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ গোয়েন্দা পুলিশ ইতিমধ্যে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
যার ফলে আমরা কিডনি বিক্রি বা ডোনেট করা থেকে পিছিয়ে যাই। বাংলাদেশে কিছু হাসপাতাল আছে যাদের বিশ্বাস করা যায় কিডনি বিক্রি বা ডোনেট করার ক্ষেত্রে। এখন চলুন জেনে নেই সেইসব হাসপাতাল এর বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে।
কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে বাংলাদেশে কিডনি ফাউন্ডেশন রয়েছে। যার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে। পরবর্তীতে এই নামে হাসপাতাল গড়ে ওঠে ২০০৩ সালে।
যেখানে প্রথম ৭ জন স্টাফ দিয়ে হাসপাতাল চালু করা হয়েছিল। বর্তমানে এই কিডনি ফাউন্ডেশন এর ১১ টি শাখা বিদ্যমান রয়েছে।
যারা কিডনি বিক্রি করতে আগ্রহী তারা চাইলে কিডনি ফাউন্ডেশন এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। গুগলে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং সেখানে তাদের কনটাক্ট নাম্বার দেয়া আছে।
একটি কথা বলতে হয় তা হলো কিডনি বিক্রি করার ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ভাবা উচিত। আপনার শারীরিক, মানসিক এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
আমার মতে কিডনি বিক্রি না করাই ভালো। কারন বেচে থাকলে মানুষ বিভিন্ন উপায়ে টাকা রোজগার করার ক্ষমতা রাখে।
আপনি যদি আপনার দেহ থেকে একটি কিডনি সরিয়ে ফেলেন তাহলে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতার সম্মুখীন হতে পারেন। যা আপনাকে মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।
এখন চলুন জেনে নেই দুটো কিডনির মধ্যে একটি বাদ দিলে কি কি সমস্যা হতে পারে তা সম্পর্কে। সমস্যাসমুহ নিম্নরুপঃ
- প্রসাব কমে যায়।
- প্রসাবের সাথে রক্ত বের হয়ে থাকে।
- হঠাত শরীরের ওজন কমে যায়।
- শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পানি জমে যায়।
- শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানির মত সমস্যা দেখা দেয়।
- শরীরে ক্লান্তিভাব দেখা দেয়।
- প্রায় সময় মাথাব্যথার মত সমস্যা দেখা দেয়।
উপরোক্ত তথ্য থেকে আশা করি বুঝতে পেরেছেন আপনার কিডনি বিক্রি করা উচিত হবে কি না। একটি কিডনি বিক্রি করে দিলে অপর কিডনি সুস্থ স্বাভাবিক থাকা স্বত্ত্বেও অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং শারীরিক অবনতি ঘটতে থাকে। যার কারনে একজন মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ঢাকা সরকারি কিডনি হাসপাতাল কোথায়
পূর্বে আমরা কিডনি বিক্রি হাসপাতাল বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই ঢাকা সরকারি কিডনি হাসপাতাল কোথায় সম্পর্কে। আমরা অনেকেই কিডনির সমস্যায় ভুগে থাকি বা কিডনি ডোনেশন করতে চাই। যার কারনে সঠিক হাসপাতালের খোজ পাইনা।আবার অনেকেই আছি যারা ঢাকা সরকারি কিডনি হাসপাতালে নিজেদের কিডনির অসুখের চিকিৎসা নিতে চাই বা কিডনি ডোনেশন করতে চাই। কিন্তু হাসপাতালটির সঠিক ঠিকানা বা লোকেশন জানা না থাকার কারনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হই। এখন চলুন আপনাদের ঢাকা সরকারি হাসপাতাল এর সঠিক লোকেশন বলে দেই।
জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিউট বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত। এই হাসপাতালটি শেরেবাংলা নগর থানায় অবস্থিত। এখানে কিডনি রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে।
হাসপাতালটির গুগলে নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে যার লিংক হলো: https://nikdu.org.bd/
এছাড়াও হাসপাতালটি ২৪ ঘন্টা যোগাযোগ করার জন্য নাম্বার রয়েছে। যা হলোঃ ০২-৯১৩৫৬৯০-৪। এছাড়া আপনি চাইলে তাদের সাথে সরাসরি ইমেইল এর মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করতে পারবেন। ইমেইল ঠিকানাঃ info@nikdu.org.bd
আশা করি উপরোক্ত তথ্য থেকে আপনি ঢাকা সরকারি কিডনি হাসপাতাল সম্পর্কে সঠিক ধারনা পেয়েছেন। যদি আপনি কিডনি সম্পর্কিত বিভিন্ন অসুখে ভুগে থাকেন, তাহলে আপনি ঢাকাতে অবস্থিত এই কিডনি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন।
আবার যদি কখনো কিডনি ডোনেটের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রেও আপনি ঢাকা কিডনি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে পারেন। মনে রাখবেন কিডনি আপনার স্বাস্থ্যের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যার কারনে এই অঙ্গ রক্ষা বা চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
কিডনি চিকিৎসার জন্য ভালো হাসপাতাল
পূর্বে আমরা ঢাকা সরকারি কিডনি হাসপাতাল কোথায় এবং কিডনি বিক্রি হাসপাতাল বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানব কিডনি চিকিৎসার জন্য সবথেকে ভালো হাসপাতাল সম্পর্কে। বাংলাদেশে অনেক হাসপাতাল রয়েছে যারা কিডনি রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকে।কিন্তু সবগুলো হাসপাতালে চিকিৎসার মান একরকম নয়। যার কারনে রোগীদের অনেক বেশি ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। সঠিক হাসপাতাল এবং সেখানকার চিকিৎসা সম্পর্কে ধারনা থাকলে রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে আর কোনো চিন্তা থাকে না। নিম্নে কিডনি রোগের কিছু ভালো হাসপাতাল এর লিস্ট দেওয়া হলো।
- ন্যাশনাল ইনস্টিউট অফ কিডনি ডিজিসেস এন্ড ইউরোলজি।
- ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
- বিএসএমএমইউ।
- পিজি হাসপাতাল।
আশা করি উপরোক্ত তথ্য থেকে আপনি কিডনি চিকিৎসার জন্য সবথেকে ভালো হাসপাতাল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় কিডনি সম্পর্কিত বিভিন্ন অসুখের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। তবে আমরা সবথেকে বিশ্বস্ত চিকিৎসালয় খুজে থাকি কিডনি চিকিৎসার জন্য।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে কিডনি চিকিৎসার জন্য সবথেকে ভালো হাসপাতাল গুলো রয়েছে। পিজি হাসপাতাল, ইবনে সিনা, ন্যাশনাল কিডনি ডিজিজ হাসপাতাল ইত্যাদি হাসপাতালে কিডনির সবথেকে ভালো চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।
আপনি যদি ভালো একটি কিডনি হাসপাতাল খুজে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে গুগলে অথবা অন্য মাধ্যমে বাংলাদেশের সবথেকে ভালো কিডনি হাসপাতাল, তাদের চিকিৎসার খরচ, ওষুধ খরচ ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
এরপর যদি আপনার মনে হয় আপনি উক্ত হাসপাতালগুলোর যেকোনো একটিতে আপনার কিডনির চিকিৎসা করাবেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি চিকিৎসা করাতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, আপনার স্বাস্থ্য এবং টাকা উভয় বিষয় যেন নিরাপদ থাকে।
কিডনি ডোনেট হাসপাতাল কন্টাক্ট নম্বর
পূর্বে আমরা কিডনি বিক্রি হাসপাতাল বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনেছি। যেখানে কিডনি ফাউন্ডেশন এর কথা উল্লেখ রয়েছে। যা বাংলাদেশে সবথেকে নির্ভরযোগ্য কিডনি প্রতিষ্ঠান।অনেকেই আছে যারা কিডনি ডোনেশন এর জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান খোজে কিন্তু পায় না। নিম্নে কিডনি ডোনেট করার সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করা হলো।
কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
হটলাইনঃ +৮৮০১৬২৩৩৩৪৮৫০
অন্যান্য কনটাক্টঃ +৮৮০২-৪৪৮০৭৪৪৭, +৮৮০২-৪৪৮০৭৪৪৮
ইমেইলঃ info@kidneyfoundationbd.com
আশা করি উপরোক্ত তথ্য থেকে আপনি কিডনি ডোনেট হাসপাতাল এর কন্টাক্ট নাম্বার সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়েছেন। আপনি যদি আপনার কিডনির চিকিৎসা করাতে চান বা আপনি চান যে আপনি কিডনি ডোনেট করবেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পূর্বে একজন ভালো ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।
এরপর আপনার শরীরের কন্ডিশন অনুযায়ী কিডনির চিকিৎসা বা ডোনেট এর বিষয় কার্যকর করা হবে। মনে রাখবেন, আপনার স্বাস্থ্য এবং অর্থ দুটোই আপনার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। তাই আপনি যেই কাজই করেন না কেন অবশ্যই পূর্ব সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
লেখকের মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলে আমরা কিডনি বিক্রি হাসপাতাল বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। আপনি আপনার কিডনি বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহনের পূর্বে অবশ্যই একজন ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহন করবেন। এরপর ডাক্তার এর বলা নিয়ম অনুযায়ী আপনি কাজ করতে পারেন।গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বন্ধু, পরিবার এবং আত্নীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করুন। আর প্রতিনিয়ত এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ওয়েবসাইট ফলোও করুন। আর প্রতিটি কাজ করার আগে ভেবেচিন্তে বুঝে শুনে তারপর করুন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
আপনি কি কিডনি কিনতে বা বিক্রি করতে চাইছেন? যাদের আর্থিক প্রয়োজন আছে, আমরা একটি কিডনির জন্য $500,000 অফার করি। আমি ডাঃ রাহুল আহমেদ, মিনিপাল হাসপাতালের একজন নেফ্রোলজিস্ট, কিডনি সার্জারি এবং প্রতিস্থাপনে বিশেষজ্ঞ। আমরা ভারত, তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া এবং দুবাইতে কাজ করি। Minipalhospital@gmail.com এ ইমেল বা +14424378984 এ WhatsApp এর মাধ্যমে আগ্রহী হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
শুভেচ্ছা,
প্রধান চিকিৎসা পরিচালক,
ডাঃ Rahul Ahmed
আমি কিডনি বিক্রি করতে চাই