amodis 400 কিসের ঔষধ

আজকের আর্টিকেলের মুল বিষয় হলো amodis 400 কিসের ঔষধ সম্পর্কে। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা amodis 500 এর কাজ কি, amodis 60 ml এর কাজ কি, এমোডিস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম বাচ্চাদের এবং amodis 60 ml এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও আলোচনা করবো। আশা করি শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন।

amodis 400 কিসের ঔষধ

তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেই amodis 400 কিসের ঔষধ সম্পর্কে।

amodis 400 কিসের ঔষধ

amodis 400 মূলত ব্যাকটেরিয়া এবং প্রোটোজোয়া সংক্রমনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন দেখা দেয়। সংক্রমনের ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। 

সংক্রমনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এমোডিস ওষুধ সেবন করা হয়ে থাকে। এমোডিস হলো এক ধরনের এন্টি-বায়োটিক। এই ওষুধ ব্যাকটেরিয়ার কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। যার ফলে ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার রোধ হয়। এর ফলে আমাদের দেহ থেকে ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হয়ে যায়।

amodis 500 এর কাজ কি

পূর্বে আমরা amodis 400 কিসের ঔষধ তা সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই এমোডিস ওষুধ কি কি কাজ করে তা সম্পর্কে। পূর্বে আমরা জেনেছি, এমোডিস হলো এক ধরনের এন্টি-বায়োটিক। যা আমাদের দেহ থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সেবন করা হয়ে থাকে। 

এছাড়াও এমোডিস এর আরও কিছু কাজ লক্ষ্য করা যায়। নিম্নে এমোডিস আরও কিছু কাজ সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।
 
  • আমাদের দেহ অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া আক্রমন করে থাকে। এমোডিস ওষুধ সেবনের ফলে ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেহে বংশবিস্তার করতে পারে না এবং মারা যায়।
  • আমাদের মুখের ভেতরে, দাঁতের মাড়িতে এবং মুখের অন্যান্য অংশে ব্যাকটেরিয়া আক্রমন করে সংক্রমনের সৃষ্টি করে। এমোডিস সেবনের ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন দূর হয়ে যায়।
  • অনেক সময় দেখা যায় আমাদের পেটের অভ্যন্তরে অ্যামিবার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকে। যার ফলে ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। এমোডিস সেবন করলে পেটের সংক্রমন কমে যায় এবং ডায়রিয়ার সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • অনেক সময় বিভিন্ন কারনে আমাদের যৌনাঙ্গের আশেপাশে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমনে সংক্রমনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এমোডিস সেবন করলে এই ধরনের সংক্রমন দূর হয়ে যায়।
  • আমাদের অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন দেখা দিলে এমোডিস সেবনের প্রয়োজন হয়। কারন অন্ত্রের সংক্রমন দূর করতে এমোডিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় আমরা যদি এমোডিস সেবন করি তাহলে আমাদের ত্বক থেকে সংক্রমন দূর হয়ে যায়।
  • বিভিন্ন ধরনের প্রোটোজোয়ার সংক্রমন থেকে বাচতে আমরা এমোডিস ওষুধ সেবন করে থাকি।
  • বাতজ্বর দূর করতে এমোডিস ওষুধ সেবন করা হয়।
  • শরীরের অন্যান্য যেকোনো অংশে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে এমোডিস সেবন করা হয়ে থাকে।

amodis 60 ml এর কাজ কি

পূর্বে আমরা amodis 400 কিসের ঔষধ এবং এর কাজ সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো এমোডিস ৬০ মিলি এর কাজ সম্পর্কে। এমোডিস ওষুধ দুই ধরনের হয়ে থাকে। 

এক হলো ট্যাবলেট। আরেকটি হলো সিরাপ আকারে। আমরা যেভাবেই সেবন করি না কেনো এমোডিস ওষুধের কাজ একই। নিম্নে এমোডিস সিরাপের কাজ উল্লেখ করা হলো।
 
  • আমাশয়ের সমস্যা দূর করতে এমোডিস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • অন্ত্রে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন দূর করতে এমোডিস সেবন করা হয়ে থাকে।
  • যোনাঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে এমোডিস সেবন করা হয়ে থাকে।
  • আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় সংক্রমন ঘটিয়ে থাকে। এই সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এমোডিস সেবন করা হয়ে থাকে।

এমোডিস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম বাচ্চাদের

পূর্বে আমরা amodis 400 কিসের ঔষধ, এর কাজ কি এবং এমোডিস ৬০ মিলির কাজ সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো বাচ্চাদের কোন নিয়মে এমোডিস সিরাপ খাওয়াতে হয় তা সম্পর্কে। যেকোনো ওষুধ আমরা যদি নিয়ম মেনে না খাই তাহলে তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। 

সেজন্য ওষুধ খাওয়ার পূর্বে আমাদের নিয়ম জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। নিম্নে এমোডিস সিরাপ কোন নিয়মে বাচ্চাদের খাওয়াতে হয় তা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
 
  • ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রেঃ দিনে ২ বার ২ মিলিলিটার করে খাওয়াতে হবে।
  • ২ বছর থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রেঃ দিনে ৩ বার ২ মিলিলিটার করে খাওয়াতে হবে।
  • ৫ বছর থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রেঃ দিনে ৩ বার ২ মিলিলিটার করে খাওয়াতে হবে।

amodis 60 ml এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

পূর্বে আমরা amodis 400 কিসের ঔষধ, এটি খাওয়ার নিয়ম, এমোডিস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এমোডিস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই এমোডিস সিরাপ এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। 

আমরা যেই ওষুধই সেবন করি না কেন সবসময় আমাদের নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেকোনো সময় বা যেকোনো অবস্থায় আমরা ওষুধ সেবন করতে পারি না। এতে আমাদের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিম্নে এমোডিস এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
 
  • আমাদের পেটে ব্যথার মত সমস্যা দেখা দেয়।
  • বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।
  • ত্বকে র‍্যাশ বা ফুসকুড়ির মত সমস্যা দেখা দেয়।
  • চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • শরীর ফুলে যায় এবং এলারজির সমস্যা দেখা দেয়।
  • অনেক সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়।
  • অনেক সময় মাথা ঘোরার মত সমস্যা দেখা দেয়।

লেখকের মন্তব্য - amodis 400 কিসের ঔষধ

আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা amodis 400 কিসের ঔষধ, এই ওষুধ খাওয়ার নিয়ম, বাচ্চাদের এমোডিস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম এবং এমোডিস সিরাপের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। 

আমাদের সবসময় মনে রাখা দরকার আমরা যে ওষুধই সেবন করি না কেনো প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে। নিয়ম ভেঙ্গে কখনোই ওষুধ সেবন করা বা অতিরিক্ত পরিমানে ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। এতে শারীরিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

প্রতিনিয়ত এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ওয়েবসাইট ফলোও করুন। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url