almex 10 ml খাওয়ার নিয়ম

আজকের আর্টিকেলের মুল বিষয় হলো almex 10 ml খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা almex সিরাপ খাওয়ার নিয়ম, শিশুদের almex সিরাপ খাওয়ার নিয়ম এবং Almex 10 ml suspension কাজ কি সম্পর্কে আলোচনা করবো। আশা করি শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন।

almex 10 ml খাওয়ার নিয়ম

তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেই almex 10 ml খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

almex 10 ml খাওয়ার নিয়ম

almex হলো এক ধরনের কৃমিনাশক ওষুধ। ছোট থেকে বড় সবারই কখনো না কখনো কৃমির সমস্যা হয়ে থাকে। যা অনেক অস্বস্তিকর একটি বিষয়। এলমেক্স ওষুধ আমরা সাধারনত কৃমিনাশক হিসেবে সেবন করে থাকি। 

এই ওষুধ কৃমির স্নায়ুতে প্রবেশ করে এবং স্নায়ুর কাজ বন্ধ করে দেয়। যার কারনে কৃমির মৃত্যু ঘটে থাকে। এলমেক্স ওষুধ সেবনের কিছু নিয়ম রয়েছে। যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • ২ বছরের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রেঃ দিনে ১ বার ২০০ মিলি খাওয়াতে হবে।
  • ২ বছরের বেশি বা প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ দিনে ১ বার ৪০০ মিলি খাওয়াতে হবে।

উপরোক্ত নিয়ম মেনে এলমেক্স ওষুধ খেতে হবে। এছাড়াও এই ওষুধ খাওয়ার আরও কিছু নিয়ম রয়েছে। চর্বিযুক্ত খাবারের সাথে এলমেক্স ওষুধ সেবন করলে তাড়াতাড়ি কাজ হয়ে থাকে। এছাড়া যখনই আমরা এই ওষুধ সেবন করি না কেনো আমাদের সঠিক মাত্রায় সেবন করতে হবে। 

কখনোই অতিরিক্ত পরিমানে সেবন করা উচিত নয়। অতিরিক্ত পরিমানে সেবন করলে তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে। প্রতিবার ওষুধ খাওয়ার পূর্বে ভালোমত ওষুধ ঝাকিয়ে নিতে হবে। আর অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই ওষুধ সেবন করা উচিত।

almex সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

পূর্বে আমরা almex 10 ml খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই এলমেক্স সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এলমেক্স ওষুধ সাধারনত দুইভাবে পাওয়া যায়। এক হলো ট্যাবলেট আকারে। আরেকটি হলো সিরাপ আকারে। 

যেকোনো ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু নিয়ম মানতে হয়। নিয়ম মেনে ওষুধ সেবন না করলে আমাদের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিম্নে এলমেক্স সিরাপ খাওয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হলো।

  • ১ বছরের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রেঃ এইক্ষেত্রে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শিশুকে এলমেক্স ওষুধ সেবন করাতে হবে। কারন কৃমির মাত্রা এবং শিশুর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে এলমেক্স ওষুধ সেবন করতে হবে।
  • ১ থেকে ২ বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রেঃ দিনে ১ বার ২০০ মিলিগ্রাম সেবন করতে হবে।
  • ২ বছরের বেশি বা প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ দিনে ১ বার ৪০০ মিলিগ্রাম সেবন করতে হবে।

উপরোক্ত নিয়ম অনুসরন করে আময়া এলমেক্স সিরাপ সেবন করবো। কখনোই অতিরিক্ত সেবন করবো না। কারন এতে আমাদের শরীরে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শিশুদের almex সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

পূর্বে আমরা almex 10 ml খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই শিশুদের ক্ষেত্রে এলমেক্স সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আমরা চাইলেই একটা শিশুকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করাতে পারি না। কারন এতে শিশুর শারীরিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

নিম্নে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী কিভাবে একটি শিশুকে এলমেক্স সিরাপ খাওয়াতে হয় তা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

  • ১ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রেঃ ১ বছরের কম বয়সী শিশুকে এলমেক্স সিরাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারন শিশুর শারীরিক অবস্থা এবং কৃমি কি পরিস্থিতিতে আছে সেই অনুযায়ী শিশুকে এলমেক্স সিরাপ সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
  • ১ থেকে ২ বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রেঃ ২০০ এমজি বা ৫ মিলি ওষুধ ১ থেকে ২ বছর বয়সী শিশুকে খাওয়াতে হবে। যা শুধু একবারই খাওয়াতে হবে।
  • ২ বছরের বেশি শিশুদের ক্ষেত্রেঃ ৪০০ এমজি বা ১০ মিলি ওষুধ ২ বছরের বেশি বয়সের শিশুকে খাওয়াতে হবে। এইক্ষেত্রেও শুধু একবারই খাওয়াতে হবে।

Almex 10 ml suspension কাজ কি

পূর্বে আমরা almex 10 ml খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। যেখানে বলা হয়েছিলো এলমেক্স ওষুধ সাধারনত কৃমিনাশক হিসেবে সেবন করা হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের কৃমি বাস করে। যেমন- গোলকৃমি, ফিতাকৃমি, সুতা কৃমি ইত্যাদি। 

এই কৃমি আমাদের দেহে পরজীবী হিসেবে বসবাস করে এবং আমাদের শরীর থেকে পুষ্টি গ্রহন করে বেচে থাকে। এলমেক্স ওষুধ কৃমির কোষের ভিতরে থাকা মাইক্রো-টিউবুলস এর কাজ বন্ধ করে দেয়। যার কারনে কৃমি খাদ্য গ্রহনের অভাবে মারা যায়। 

আমাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় যেমন- অন্ত্রে, পাকস্থলীতে বা লিভারে কৃমির সংক্রমন দেখা দেয়। এলমেক্স ওষুধ সেবনের ফলে কৃমি মরে যায় এবং আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায়।

লেখকের মন্তব্য - almex 10 ml খাওয়ার নিয়ম

আজকের আর্টিকেলে আমরা almex 10 ml খাওয়ার নিয়ম, এলমেক্স সিরাপ খাওয়ার নিয়ম এবং শিশুদের এই সিরাপ কিভাবে খাওয়াতে হয় তা সম্পর্কে জেনেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন। 

একটি বিষয় সবসময় মনে রাখবেন, ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন। কখনোই নিয়মের অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করবেন না। যদি বুঝতে না পারেন তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করবেন। 

এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ওয়েবসাইট ফলোও করুন। প্রয়োজনীয় তথ্য আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url